আপনার প্রয়োজন মতো সঠিক ব্যাটারি নির্বাচন করুন।ব্যাটারি কেনার আগে জেনে নিন ব্যাটারির সাতকাহন

টেকনোলজি ক্রমশই বিদ্যুৎ নিরভর হয়ে পড়ছে, সঙ্গত কারনেই বাড়ছে ব্যাটারির চাহিদা, আরো বিষদ ভাবে বলতে গেলে রির্চাজেবল ব্যাটারির।
মোবাইল ফোন থেকে ইনর্ভাটার,টোটো গাড়ি সবকিছুতেই লাগছে ব্যাটারি।কিন্তু সব জায়গাতে একই রকম ব্যাটারি লাগেনা , স্পেসিফিক পারপাসে স্পেসিফিক কনফিগারেশনের ব্যাটারি লাগাতে হয়, তা না হলে সঠিক পারর্ফরমেন্স পাওয়া যায়না।
আজকে আমরা একটা ভালো ব্যাটারির কী কী স্পেসিফিকেশন থাকা উচিৎ তা নিয়ে আলোচনা করব।
১।সাধারনত একটা বড় ব্যাটারি অনেকগুলো একক ছোট ছোট ব্যাটারি সিরিজ অথবা প্যারালাল করে বানানো হয়, এগুলো কে বলে সেল।
প্রতিটা সেলের ভোল্টেজ হয় প্রায় ছয় ভোল্ট।
২।সাধারনত দুরকম কাজের জন্য ব্যাটারি বানানো হয়, একরকম দিতে পারে হাই পাওয়ার ,অন্যটা দিতে পারে হাই ডুরাবিলিটি।গাড়ির জন্য ডুরাবিলিটি একটা ইম্পরটেন্ট বিষয়।
৩।সি রেট- একটা ব্যাটারি থেকে ম্যাক্সিমাম কত কারেন্ট সেইফলি টানা যাবে এটা নির্দেশ করে। ধরুন একটা ব্যাটারি 100 AH, c rate-1c, তা হলে আপনি ব্যাটারি থেকে ম্যাক্সিমাম ১০০ amp current টানতে পারবেন। তার বেশি টানলে ব্যাটারি খারাপ হবে, আগুন ও লেগে যেতে পারে।
৪। ই – রেট= এটা হল ম্যাক্সিমাম এনার্জী ডিসচার্জ রেট। এর ভ্যালু যত বেশি হবে তত ভালো।
৫।ডেপথ অফ ডিসচার্জ= টোটাল ক্যাপাসিটির কত পার্সেন্ট সেইফলি ডিসচার্জ করা যাবে এটা টা নির্দেশ করে। ইনর্ভারটার এর বেলায় এটা বেশী হওয়া ভালো। 
                                             ৬।লোডেড অবস্থায় এবং নো লোড অবস্থায় টার্মিনাল ভোল্টেজের পার্থক্য যত কম হবে ততই ভাল।
৭।ব্যাটারির ইন্টার্নাল রেজিস্টান্স বিভিন্ন কন্ডিশনে বিভিন্ন হয়, এটা বেশি হলে ব্যাটারির এফিসিয়েন্সি এবং থার্মাল স্টেবিলিটি কমে জায়।
৮। কাট অফ ভোল্টেজ = টার্মিনাল ভোল্টেজ যে ভ্যালুর নীচে নেমে গেলে ব্যাটারি আর ব্যবহার করা সেইফ নয়। কেনার সময় এটাও নজর রাখতে হবে।
৯।লাইফ সাইকেল= প্রতিটা ব্যাটারি কে সর্বোচ্চ কত বার চার্জ এবং ডিসচার্জ করা যাবে তার একটা লিমিট আছে এটাই লাইফ সাইকেল। এই লিমিটের পরে ব্যাটারির পারফরমেন্স কমে জায়।
তাই ব্যাটারি কেনার সময় যত বেশি লাইফ সাইকেল পারা যায় কেনা ভালো।
১০।এনার্জী প্রতি গ্রামে= প্রতি গ্রাম কেমিক্যাল কতটা শক্তি ধরে রাখতে পারে এটাই তার পরিমাপ। খনিজ তেলের এই ভ্যালু খুব বেশি। ব্যাটারি তে এই ভ্যালু তুলনামূলক অনেক কম। তাই তেলের গাড়ি বেশী লোড নিতে পারে। কীভাবে ব্যাটারির এই ভ্যালু বাড়ানো যায় তা নিয়ে বিস্তর গবেষনা চলছে।
লেখা- Abhijit Maity.
B tech(Electrical Engineering)

Comments