পিজো ইগ্নাইটার

কয়েকদিন আগে পেজে একটা পোষ্ট দেওয়া হয়েছিল পিজো ইগ্নাইটার নিয়ে।আজকাল সব লাইটারের ভিতরেই থাকে এটা।আজ জানবো, সবার পরিচিত এই যন্ত্র টা কাজ করে কিভাবে, আর কিভাবেই বা এলো এর আইডিয়া।
কুরি দম্পতির নাম আমরা প্রায় সুকলেই শুনেছি, রেডিওএক্টিভিটি নিয়ে গবেষনা করতে করতে তারা আরো অনেক জিনিস আবিষ্কার করেছিলেন যা আমাদের অনেকেরই অজানা, আজকের আধুনিক সভ্যতায় যাদের অবদান অপরিহার্য।তেমনি একটা আবিষ্কার এই পিজো ইলেক্ট্রিসিটি।
আমাদের প্রকৃতিতে এমন কিছু কেলাস অর্থাৎ ক্রিস্টাল পাওয়া যায় যাদের একপ্রকার বিশেষ গুন আছে। এদের কেলাসের অভ্যন্তরিন অনু পরমানুর শয্যা এমন থাকে, যদি বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করে যদি এদের আকার বদলানোর চেষ্টা করা হয় তা হলে এই পৃষ্টতলে বৈদ্যুতিক চার্য জমা হয়। কিভাবে কোথায় চাপ দেওয়া হচ্ছে তার উপর উৎপন্ন ভোল্টেজের পরিমান নির্ভর করে। এগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়।প্রকৃতিতে পাওয়া যায় এই রকম কয়েক টা ক্রীস্টাল হল কোয়ার্টজ (এটা ঘড়িতে থাকে),টোপাজ, রচেলি সল্ট, টুরমেলিন গ্রুপ খনিজ সমূহ, এছাড়া আরো অনেক আছে। ল্যাবে কৃত্রিম ভাবেও এইরকম ক্রীস্টাল বানানো হচ্ছে।

এদের মধ্যে কয়েকটি হল বেরিয়াম টিটানেট,পটাশিয়াম নিওবেট, সোডিয়াম টাংস্টেট ইত্যাদি।
আশ্চর্যের কথা হল আমাদের শরীরের “ডি এন এ” এর মধ্যেও এই ধর্ম দেখতে পাওয়া যায়।
ফিরে আসি লাইটার এর কথায়, কি ভাবে তা হলে এটা আগুনের ফুল্কি অর্থাৎ স্পার্ক সৃষ্টি করে?

এর ভেতরের যন্ত্রাংশ গুলি এমন ভাবে লাগানো থাকে যে,যখনি আপনি আঙ্গুল দিয়ে চাপ দেন,ওই চাপ স্প্রিং এর মাধ্যমে চলে যায় ভিতরে থাকে ক্রীস্টালে, নিয়ম অনুয়ায়ী এটা ভোল্টেজ সৃষ্টি করে এর পৃষ্টতলে। এই ভোল্টেজ এর পরিমান হয় কয়েক হাজার ভোল্ট যেটা একটা ইলেক্ট্রিক্যাল স্পার্ক সৃষ্টি করতে যথেষ্ট।

এখন দেখাযাক এই আশ্চর্য ক্রীস্টাল আর কি কি কাজে লাগতে পারে।
আপনার এলার্ম ঘড়ির বাজার স্পীকার টা পিজো ক্রীস্টাল দিয়ে বানানো।
ফুটপাতের নিচে রেখে মানুষের চলাচল থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা যেতে পারে।

সম্প্রতি একটা গবেষনায় এটাকে পেসমেকারের সাথে লাগিয়ে এমন পেসমেকার বানানোর কথা বলা হচ্ছে যেটায় কোনোদিন ব্যাটারি চেন্জ করতে হবে না।

Comments