স্টেশনে হোক বা লাইনে কয়েকটা লেখা প্রায়শই চোখে পড়ে যেমন EMU,MEMU,DMU ইত্যাদি। কখোনো মনে প্রশ্ন জেগেছে কী, এগুলোর মানে আসলে কী? কেনই বা এতবার লেখা থাকে?

: ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এক্সাম ২০১৬:
(পরীক্ষায় আসুক বা না আসুক জানতে ক্ষতি কী?)
স্টেশনে হোক বা লাইনে কয়েকটা লেখা প্রায়শই চোখে পড়ে  যেমন EMU,MEMU,DMU ইত্যাদি। কখোনো মনে প্রশ্ন জেগেছে কী, এগুলোর মানে আসলে কী? কেনই বা এতবার লেখা থাকে?
আজকের পোস্ট টি "ই এম ইউ"(EMU) নিয়ে।বাকিগুলো পরে পরে হবে।
পুরো নাম হল "ইলেক্ট্রিক মাল্টিপল ইউনিট"। মজার জিনিস হল এই ট্রেনের জন্য আলাদা করে কোনো ইঞ্জিন দরকার পড়েনা।একই সাথে ইঞ্জিনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ ও প্যাসেঞ্জার এর জন্য বসার যায়গা থাকে। অনেকগুলো ইঞ্জিন ইউনিট পুরো ট্রেনে ছড়িয়ে থাকে।এর জন্য একাধিক পেন্টোগ্রাফ এর দরকার। পড়ে।ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবে।
সাধারণ ভাবে এটা কম ডিস্টেন্স এর লোকাল ট্রেন। প্রথম ই এম ইউ চালানো হয়েছিল ১৮৯৩ সালে লিভারপুলে।তারপর থেকেই এই টেকনোলোজি জনপ্রিয় হতে থাকে।
এর অনেক সুবিধা আছে যেমন খুব দ্রুত স্পিড এক্সিলারেট করতে পারে,কম ডিস্টেন্সে ফুল স্পিড থেকে থামতে পারে, ইত্যাদি।
একটা ই এম ইউ তে চারটা থেকে বারোটা কামরা থাকে। মূলত চার ধরনের কার থাকে, যেমন-
১।পাওয়ার কার: এর কাজ লাইন থেকে পাওয়ার নেওয়া আর বিভিন্ন অংশে ডেলিভারি করা।
২।মোটর কার: এখানে ট্র‍্যাকশন মোটর গুলো থাকে। অনেক কামরায় কিছুটা ঘেরা দেওয়া অংশ থাকে লক্ষ্য করবেন।এর ভেতরে এগুলো থাকে।
৩।ড্রাইভিং কার: এখানে লোকোপাইলট অর্থাৎ ড্রাইভার বসে।যাবতীয় কন্ট্রোল এখানে থাকে।দুটো ড্রাইভিং কার থাকে একেবারে সামনে আর একেবারে পিছনে।
৪।ট্রেলার কার: এখানে শুধু প্যাসেঞ্জার এর বসার যায়গা থাকে।
একটা পাওয়ার কার তিনটে কোচ কে টানতে পারে।মানে বারো কোচের একটা লোকাল ট্রেন কে টানতে চারটা পাওয়ার কার লাগে।
নলেজ ভাগ করলে বাড়ে, তাই চাইলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে। আগামি পর্বের জন্য নজর রাখুন আমাদের পেজে।
আজ এই পর্যন্তই।শুভকামনা সবার জন্য।
(জ্যোৎস্না ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স)

Comments