স্টেশনে হোক বা লাইনে কয়েকটা লেখা প্রায়শই চোখে পড়ে যেমন EMU,MEMU,DMU ইত্যাদি। কখোনো মনে প্রশ্ন জেগেছে কী, এগুলোর মানে আসলে কী? কেনই বা এতবার লেখা থাকে?

: ইন্ডিয়ান রেলওয়ে এক্সাম ২০১৬:
(পরীক্ষায় আসুক বা না আসুক জানতে ক্ষতি কী?)
স্টেশনে হোক বা লাইনে কয়েকটা লেখা প্রায়শই চোখে পড়ে  যেমন EMU,MEMU,DMU ইত্যাদি। কখোনো মনে প্রশ্ন জেগেছে কী, এগুলোর মানে আসলে কী? কেনই বা এতবার লেখা থাকে?
আজকের পোস্ট টি MEMU  নিয়ে।
(MEMU)
পুরো নাম মেসিন ইলেক্ট্রিক মান্টিপল ইউনিট।
এটার গঠনগত বৈশিষ্ট্য অনেকটাই EMU মতো।( ই এম ইউ নিয়ে জানতে আগের পোষ্ট দেখুন)
সাথে আরো এক্সট্রা ফেসিলিটি যোগ করা হয়েছে। যেমন
১.এটে টয়লেট এর সুবিধা আছে।
২। একটা কোচ থেকে আর একটা কোচে যাওয়া যায়,মানে পুরো ট্রেন টা আপনি ঘুরতে পারবেন।
৩।অনেক বেশি ডিস্টেন্স সফর করার উপযোগী করে এটি বানানো।
৪।এর একটি পাওয়ার কার চারটি কোচ কে টানতে পারে।
৫। একটা মেমু সাধারণত ষোলো থেকে কুড়িটা কোচের হয়,যেখানে ই এম ইউ তে থাকে মাত্র বারোটা কোচ।
৬।স্পিড থাকে প্রায় একশো পাচ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
৭। মোটর কোচে সিট থাকে ৭৬ টা,এবং ট্রেলার কোচে সিট থাকে ১০৮ টা।
ইন্ডিয়া তে প্রথম মেমো প্যাসেঞ্জার চলে ১৯৯৫ সালে রায়পুর থেকে বিলাসপুর এর মধ্যে।
বর্তমানে দুরপাল্লার প্যাসেঞ্জার ট্রেন গুলো বেশিরভাগ মেমু ক্যাটাগরির।

কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
নলেজ ভাগ করলে বাড়ে, তাই চাইলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে। আগামি পর্বের জন্য নজর রাখুন আমাদের পেজে।
আজ এই পর্যন্তই।শুভকামনা সবার জন্য।
(জ্যোৎস্না ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স)

Comments