জেনে নিন ইন্ডিয়ান রেলওয়ের সবথেকে আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি বিলাসবহুল কোচ গুলির সম্পর্কে।


"কাপুরথালা" রেলওয়ে কোচ ফ্যাক্টরি, এখানেই তৈরি হয় সর্বাধুনিক Linke Hofmann Busch (LHB) coaches.
প্রথম ২৪ টা কোচ আমদানি করা হয়েছিল জার্মানি থেকে শতাব্দি এক্সপ্রেসে ব্যবহার করার জন্য। তারপর নিজেরাই উৎপাদন শুরু করে।
এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, কি এমন আছে এই কোচে যার কারনে আজ আলোচনার মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে?
প্রথমত এই কোচগুলি ডিজাইন করা হয়েছে ১৫০ কিমি প্রতি ঘন্টার উপরে ছোটার উপযোগী করে। লম্বায় ২৩.৫৪ মিটার, চওড়ায় ৩.২৪ মিটার। বোঝাই যাচ্ছে স্পেস কতটা বেশী। এসি কোচ ৭৮ জনের ক্যাপাসিটি রাখে।
দাবি করা হয় এই কোচ কখোনো ওল্টাবে না ,এমন কী মুখোমুখি সংঘর্ষেও না।
প্রত্যেক কোচে ব্যবহার করা হয়েছে এডভান্স নিউমেটিক ব্রেকিং টেকনোলজি।
ডিজাইন এমন ভাবে করা হয়েছে যাতে করে ভিতরে ট্রেন চলার শব্দ বেশী না যেতে পারে। শব্দের তীব্রতা ৬০ ডেসিবেলের থেকে কম থাকে।

একটা দারুন ফিচার যোগ করা হয়েছে এতে , যখন ট্রেন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকবে টয়লেটের নোংরা জল কোনোভাবেই লাইনে পড়বেনা। একমাত্র ট্রেন রানিং থাকলেই ওয়েস্ট রিলিজ হবে।
ঝাকুনি কম করবার জন্য জটিল সব শক এবজর্বিং টেকনোলোজি ব্যবহার করা হয় তাদের মধ্যে আমার জানা কিছু কিছু হল প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারী সাস্পেন্সন তার সাথে এন্টি রোল বার, এন্টি হান্টিং ড্যাম্পার ইত্যাদি।
আমাদের পেজ যেহেতু ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স নিয়ে তাই কিছু ইলেকট্রিক্যাল স্পেসিফিকেশন আলোচনা করা যাক-
কোচের ছাদে রয়েছে মাইক্রোপ্রসেসর বেসড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম এটা চলে থ্রী ফেজ ৫০ হার্তয ৪১৫ ভোল্ট এসি সাপ্লাই এ। এছাড়াও আছে IGBT বেসড ব্যাটারি চার্যার। অল্টারনেটিভ সাপ্লাই হিসাবে থাকে ৬ কিলো ওয়াটের অল্টারনেটর।
এই কোচ ব্যবহার করা হয়েছে এই ট্রেন গুলিতে-
১।রাজধানী এক্সপ্রেস,২। শতাব্দী এক্সপ্রেস,৩।দুরন্ত এক্সপ্রেস
এছাড়াও কিছু এমন নন এসি কোচ ব্যবহার করা হচ্ছে এই ট্রেনগুলিতে
১।পূর্বা এক্সপ্রেস, ২। সম্পূর্না এক্সপ্রেস, ৩।পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, ৪। শিভ গঙ্গা এক্সপ্রেস ইত্যাদি।
আমার যতটা জানা ছিল লিখলাম, এর পর আপনারা কমেন্টে যোগ করুন।

Comments