আপনার কম্পিউটার আপনাকে স্পর্শ করতে পারে?

আপনার কম্পিউটার আপনাকে স্পর্শ করতে পারে? তার আবেগ অনুভূতি দিয়ে আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে পারে? উত্তর যদি না হয় তা হলে এই পোষ্ট টা আপনার জন্য।
এটা হল হ্যাপটিক প্রযুক্তি যা কাজ করে ট্যকটাইল সেনসেশন এর উপর ভিত্তি করে। আপনার স্কিনে যে বায়োলজিক্যাল সেন্সর গুলো থাকে এগুলো দিয়ে আপনি কোনো সার্ফেস কেমন চোখে না দেখেও বুঝতে পারেন, আবার এর উপর চাপ দেওয়া হলে কতটা চাপ পড়ছে তাও বুঝতে পারেন।ট্যাকটাইল সেন্সর ও কোথায় কতটা চাপ পড়ছে তার একটা ডিজিটাল ইমেজ সৃষ্টি করতে পারে।যেটা প্রয়োজনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে এক কম্পিউটার থেকে আর এর কম্পিউটার এ স্থানান্তর করা যায়। 

একটা উদাহরন দিলে আরো ভালো বোঝা যাবে, মনে করুন আপনি কলকাতায় বসে আপনার আমেরিকা প্রবাশী আত্মীয়ের সাথে অনলাইন ক্রিকেট গেম খেলছেন।এই প্রযুক্তির সাহায্যে আপনি প্রত্যেক টি বলের ইম্প্যাক্ট ফিল করতে পারবেন।এই কাজটি করে কিছু এক্সবক্স, ড্রিমকাস্ট,সাউন্ডব্রিনার এর মত ওয়ারেবল হ্যাপটিক ডিভাইস।এটা ভাইব্রেসন ফিডব্যাক দেয়। কিছি অত্যাধুনিক ডিভাইসে আলট্রাসাউন্ড ওয়েভ ফিডব্যাক ব্যবহার করা হয়।ভাররবর্ষে যদিও এখোনো পপুলার নয় এগুলো। 
এই হ্যাপটিক প্রযুক্তি যে শুধুমাত্র গেমিং এর জন্য ব্যবহার করা হয় তা নয়, মেডিক্যাল সায়েন্স ও মিলিটারি তেও এর বহুবিধ ব্যব্যহার আছে। ভাবছেন এগুলো আপনার জন্য না? তা হলে ভেবে দেখুন আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের ভাইব্রেটিং টাচ ফিডব্যাক কিন্তু একটি হ্যাপটিক প্রযুক্তি। 
আশা করা যায়,ভবিষ্যতে ভারতবর্ষে এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে, এবং আমরাও এই প্রযুক্তি পন্য নিজেরা উতপাদন করতে পারব।

Comments