দ্য লিঙ্ক

আমার লেখা একটি কল্প বিজ্ঞানের গল্প , কেমন হচ্ছে জানাবেন
                                                             দ্য লিঙ্ক 
প্রফেসর সিনহা আজকাল বড়ই অস্থির হয়ে পড়েছেনসকাল থেকেই বারান্দায় পায়চারি করছেন এপাস থেকে ওপাসমাথার চুল গুল সব এলোমেলো ,শুকনো চোখে  তাকিয়ে আছেন জল্ভরা রঙ্গিন মাছের আকোরিয়াম টার দিকে আজকাল জল দেখলেই ভয় পান প্রফেসর সিনহা    কিন্তু তার তো জলাতঙ্ক হয় নিএইতো মাত্র মাস ছয়েক আগের কথা,জল নিয়ে গবেশনা করতে করতে কাটিয়ে দিয়েছেন ঘন্টার পর ঘন্টা সফল ও হয়েছেন তিনি ইন্ডিয়ান অল্টারনেটিভ কমিউনিকেসান রিসারচ সেন্টার এর নাম শিখরে নিয়ে গেলেন তিনি
ক্রমাগত সোলার স্ট্রম আর উচ্চ শক্তির মহাজাগতিক রস্মির কবলে প্রচলিত স্যাটেলাইট কমুনিকেসানের নাজেহাল অবস্থা প্রায় সবকটি উপগ্রহ ই বিকল
সম্পুরন কমিউনিকেশন সিস্টম ভেঙ্গে পরেছে , নাসার সাথে সমস্ত স্পেস স্টেশন এর সম্পরখ বিচ্ছিন্ন গোটা বিশ্ব জুড়েই টালমাটাল অবস্থা পরিবাহী তার দিয়ে লোকাল এরিয়া তে কমিউনিকেট করা জায়, কিন্তু গোটা বিশ্বের জন্য তা কিভাবে সম্ভব? বিজ্ঞানি মহল মরিয়া হয়ে খুজতে লাগলেন বিকল্প কনো পথ
প্রফেসর সিনহা ছিলেন তাদেরি এক জন
বিজ্ঞানিদের মধ্যেও একরকম নিরবাক প্রতিজোগিতা শুরু হয়ে গেল। কোন দেশ আগে কোনো বিকল্প উপায় বার করবে তাই নিয়ে দেশ বিদেশের পেপারে চলল গুজব।  অনেক বিজ্ঞানি অনেক রকম উপায় এর কথা বললেন , কিন্তু ঠিক কাজের কাজ কোনোটাতেই হল না।  এদিকে নিরবে কাজ করে চলেছেন প্রফেসর সিনহা।
সেদিন দিনটা ছিল ৭ ই ফেব্রুয়ারী ২০৫২ , সবাই কে অবাক করে দিয়ে প্রফেসর প্রকাশ করলেন তার সুদিরঘ গবেশনার ফলাফল। উন্মুক্ত করলেন বিশ্ব বাসির কাছে এমন একটা উপায় , জা বদলে দিতে চলেছিল আগামি । কমিউনিকেসন এক নতুন পদ্ধতি। প্রথম টা বিজ্ঞানি মহলে অনেক হাসি ঠাট্টা চলেছিল থিওরি টা নিয়ে। কিন্তু প্রফেসর সিনহা তো আর দমবার পাত্র নন । দেশের সম্মানের প্রশ্ন যেখানে সেখানে তো আর অবহেলা করা চলেনা। 
কাজ শুরু করলেন বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে, যে ভাবেই হোক তাকে তাকে থিওরির এপ্লিকেশন করতেই হবে। না হলে যে এক অপার সম্ভবনা মানব জাতির কাছে চিরদিনের মত অধরা থেকে যাবে।
সেদিনই আনিয়ে নিলেন বিশাল বিশাল মাটির কুজো, সবগুলো ভরতি করলেন জল দিয়ে,নিজের পকেটের টাকা খরচ করে কিনলেন সবথেকে আধুনিক কনফিগারেসন এর কম্পিউটার।প্রফেসর সিনহার ব্যাকগ্রাউন্ড কম্পিউটার সায়েন্স। পি এইচ ডি করেছেন কমিউনিকেসন নিয়ে। আজ তাকে জীবনের অরজন করা সব শিক্ষার ব্যবহার করতে হবে হাতেনাতে। কলেজের ল্যাবে ইলেট্রোম্যাগ্নেটিক ওয়েভ কে কোডি; করেছেন অনেকবার।মোবাইল, রেডিও, ইন্টারনেট কমিউনিকেশনে জা হামেসাই ব্যবহার হয়। কিন্তু এবার চ্যালেঞ্জ টা একটু অন্যরকম অদ্ভুতও বটে।প্রথম টা প্রফেসসর এর নিজেরি মনে হয়েছিল ব্যাপার টা অসম্ভব।কিন্তু বিজ্ঞানের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। আজ জেটা আপাত অসম্ভব বলে মনে হয় কাল সেটা বিজ্ঞান সম্ভব করবেই। মধ্যজুগের মানু্স কি ভাবতে পেরেছিল আজকের কম্পিউটার এর কথা।

 সেদিন টা ছিল রবিবার প্রফেসর হন্যে হয়ে চলেছিলেন টিউব ওয়েল বসানর এজেন্সি তে।কথা বললেন ম্যানেজার এর সাথে।প্রফেসর এর কথা সুনে একটু হাসলেন প্রফেসর। তারপর বললেন “ আপনাকে আমাদের মেসিন গুলো দিতে পারি, তবে একটা শরতে,আপনার এক্সপেরিমেন্ট যদি সফল হয়, আমাদের এজেন্সির নাম থিসিস পেপারে রাখতে হবে”। প্রফেসর এক বাক্যে রাজি হলেন, জেন এমন সুজগটাই চাইছিলেন মনে মনে।ল্যবে এনে জড়ো করলেন মাটিতে গরত করার মেসিন।পিভিসি পাইপ, আরও নানা জিনিস।continued

Comments