বেশিরভাগ প্যাডেল করা তিন চাকার গাড়িগুলোর(যেমন রিক্সা,টলি ভ্যান ইত্যাদি) পিছনের চাকা দুটো কেমন টলমল করে চলতে থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এমন টা হয়? কই অটো বা ফোর হুইলারে তো সচরাচর এমন হয় না?

আশেপাশে চোখে দেখি প্রতিদিন,কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে কী? আজকের পোস্ট একটা কমন ফ্যাক্ট নিয়ে।
একটু ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখবেন বেশিরভাগ প্যাডেল করা তিন চাকার গাড়িগুলোর(যেমন রিক্সা,টলি ভ্যান ইত্যাদি) পিছনের চাকা দুটো কেমন টলমল করে চলতে থাকে।অনেকে একে আবার চাকার টাল ও বলে।
কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এমন টা হয়? কই অটো বা ফোর হুইলারে তো সচরাচর এমন হয় না?
একটু কল্পনা করুন। রিক্সা টা বাম দিকে বাঁক নেবে। এখন বাম দিকের চাকাকে ডান দিকের চাকার থেকে কম ডিস্টেন্স পার করতে হবে।কাজেই ঘুরতেও হবে কম।কিন্তু দুটো চাকা তো একই শ্যাফটের সাথে লাগানো থাকে তা হলে কি ভাবে আলাদা স্পিডে ঘুরবে? আসলে পারে না। মাটির উপর স্লিপ করতে  থাকে,এর ফলে প্রচুর পরিমান মেকানিক্যাল চাপ পড়ে চাকার উপর এবং বেয়ারিং এর উপর। তাই যে সব রিক্সা বেশি বাঁক রাস্তায় চলে, কিছুদিন পরে তার পিছনের চাকাগুলো নড়বড়ে হয়ে যায়।
  এবার আসি ফোর হুইলারে। দেখবেন গাড়ি র নিচে পিছনের দিকে বড় গোল মত কালো রঙ এর একটা জিনিস আছে যার সাথে একটা লম্বা ঘুরতে থাকা স্যাফট ইঞ্জিন থেকে কানেক্টেড থাকে। এই কালো গোল জিনিসটার ভিতর এক জটিল মেকানিক্যাল গিয়ার সিস্টেম থাকে যার ফলে পিছনের দুটো চাকা বাঁক নেবার সময় আলাদা স্পিডে ঘুরতে পারে। 
                                  

ভাবছেন আজ রেল ছেড়ে ফোর হুইলারে কেন? আসছি এবার রেল নিয়ে।
রেলে কিন্তু এমন কোনো গিয়ার সিস্টেম থাকে না, একদম সাধারন রিক্সার মতোই।
এখুনি প্রশ্ন করবেন, তাহলে বাঁক নেবার সময় কেন লাইন থেকে পড়ে যায়না?
একটু ভালো করে দেখলে দেখবেন চাকা পুরোপুরি ফ্ল্যাট নয়।দুটো চাকাতেই একদিকে কিছুটা উঁচু অংশ থাকে, যেটা লাইনের ভিতরের দিকে থাকে,এটাই সহজে ট্রেন কে ডিরেল্ড হয়ে দেয়না। লাইনের থেকে চাকা কিছুটা বেশি চওড়া হয়,যাতেকরে চাকা সামান্য স্লিপ করেও ডিরেল্ড না হয়েও বাঁক নিতে পারে।
আজ এ এপর্যন্তই। কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
নলেজ ভাগ করলে বাড়ে, তাই চাইলে শেয়ার করুন বন্ধুদের সাথে। আগামি পর্বের জন্য নজর রাখুন আমাদের পেজে।
আজ এই পর্যন্তই।শুভকামনা সবার জন্য।
(জ্যোৎস্না ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স)


Comments