ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স নিয়ে যাদের জানার আগ্রহ আছে শুধু তাদের জন্য এই পোষ্ট টি।


আমরা ইলেকট্রনিক্স বলতে সাধারনত কিছু অডিও ভিজুয়্যাল ডিভাইস মোবাইল টিভি কম্পিউটার কে বুঝি।কিন্তু এই টেকনোলজির ক্ষেত্র কিন্তু অনেক বড়।যেকোনো দেশের ডিফেন্স সিস্টেমে বড় ভূমিকা রাখে ইলেকট্রনিক্স।
আজকে বলব রেডার নিয়ে। নামটা প্রায় সকলেই শুনেছেন। এবার একটু বিস্তারিত ভাবে জানা যাক রেডার আসলে কী?
১৮৮৬ সালে ফিজিসিস্ট হেনরি হার্তয আবিষ্কার করেন রেডিও ওয়েভ কোনো কঠিনতল থেকে প্রতিফলিত হতে পারে আলোর মত। রেডারে মেইনলি দুটো অংশ থাকে একটা হল ট্রান্সমিটার এটা রেডিও ওয়েভ অথবা মাইক্রোওয়েভ টান্সমিট করে,অন্যটি হল রিসিভার এটা টার্গেট থেকে প্রতিফলিত ওয়েভ রিসিভ করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শত্রুপক্ষের বিমানের অবস্থান জানার জন্য প্রথম রেডার বানায় ইউ এস নেভি ১৯৪০ সালে।

রেডার কথাটির পুরো নাম তাই “ রেডিও ডিটেকশন এন্ড রেঞ্জিং”।
ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সে টু ডি,থ্রি ডি দুরকমেরই রেডার টেকনলোজি রয়েছে।
যে রেডিও ওয়েভ প্রতিফলিত হয়ে আসে তা অত্যন্ত দুর্বল হয়। এই সিগ্ন্যাল কে এরপর ইলেকট্রনিক এম্লিফায়ার দিয়ে এম্পিফাই করা হয়। এরপর প্রাপ্ত সিগ্ন্যাল কে ডিজিটাল সিগ্ন্যালে কনভার্ট করা হয়। এরপর এই ডিজিটাল সিগ্ন্যাল কম্পিউটাকে পাঠানো হয়। কম্পিউটার একটি জটিল সফটওয়ারের সাহায্যে এই এই সিগ্ন্যাল কে ইমেজে কনভার্ট করে। ফলে সহজেই রেডার ম্যান গ্রাফিক্যাল ভাবে কম্পিটার স্ক্রীনে শ্ত্রুপক্ষের বিমানের অবস্থান জানতে পারে। এই সফটওয়ারে মূলত একটি ম্যাথমেটিক্যাল প্রসেস ব্যবহার করা হয় যার নাম ফুরিয়ার ট্রান্সফর্মেশন। যারা ম্যাথের স্টুডেন্ট তারা এটা জেনে থাকবেন।
ইন্ডিয়ান ডিফেন্স সিস্টেমের র‌্যাডার গুলি একইসাথে স্থির বস্তুর অবস্থান ও প্রচন্ড দ্রুতগতিতে চলে শ্ত্রুপক্ষের বিমানের অবস্থান ও গতিবেগ নির্নয় করতে পারে।
যদি টার্গেট গতিশীল হয় তা হলে প্রতিফলিত রেডিও ওয়েভের কম্পাঙ্কে তা প্রভাব পড়ে। একে বলে ডপলার এফেক্ট। কম্পাঙ্কে কতটা পরিবর্তন হচ্ছে তা থেকে কম্পিউটার হিসেব করে বলে দিতে পারে টার্গেটের স্পীড কত।
রাডারের মধ্যে এত প্রযুক্তি আছে যা এই একটা পোষ্টে সব বলা সম্ভব না।
আবার আগামী পর্ব আমাদের পেজে।
চাইলে শেয়ার করতে পারেন।


Comments